ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চারদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই চকরিয়া উপজেলায়

bidমিজবাউল হক :

গত চারদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই চকরিয়া উপজেলায়। একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তারাবির নামাজ আদায় ও সেহেরি খেতে চরম বিপাকে পড়েছে মুসল্লিরা। বিদ্যুৎ বিভাগের ৬টি টিম মেরামতের জন্য কাজ করলেও কখন বিদ্যুৎ চালু হবে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো।
জানা যায়, মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়‘মোরা’র আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় চকরিয়া উপজেলা। হাজার হাজার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়। গাছ-পালা ভেঙ্গে যায়। তবে মোরার আঘাতে বড় ধরণের বিপর্যয় হয় বিদ্যুত বিভাগে। অন্তত অর্ধশতাধিক বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে যায়। প্রায় ১০টি ট্রান্সফরমার ভেঙ্গে পড়ে যায়। অনেক জায়গায় বিছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। এখনো পর্যন্ত ডোবার মধ্যে খুটি সহ তার ডুবে রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে এখনো মেরামত করতে পারেনি তেত্রিশ হাজার কেভি’র ভোল্টের বিদ্যুত লাইন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সংযোগ চালু করতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরপরও চিরিঙ্গা ইউনিয়নে ট্রান্সফরমার সহ একটি খুটি ডোবায় পড়ে রয়েছে। এখনো মেরামত করা যায়নি। পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুটি পড়ে গেলেও অনেক জায়গায় স্থানীয় মানুষের সহায়তায় গাছ কেটে পরিস্কার করা হয়েছে। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা মসজিদের সামনে মোরার আঘাতে বিশাল গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুটি সহ ডোবা পড়ে যায়। পরদিন স্থানীয় এলাকাবাসির সহায়তায় গাছ কেটে পরিস্কার করা হয়।
এদিকে চকরিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো’র নেতৃত্বে বিদ্যুৎ কর্মী রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎ কর্মীদের ৬টি টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। পৌরশহর এলাকায় মোটামুটি ভাবে পরিস্কার করার কথা জানান তিনি। তবে তেত্রিশ হাজার ভোল্টের খুটি ও ট্রান্সফরমারে মারাত্মকভাবে আঘাতে হয়। সেখানে বিদ্যুৎ কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যে কোন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবে বলে আশার কথা জানান আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো।

 

পাঠকের মতামত: